মোঃ কামরুজ্জামান
অর্থ সম্পাদক
সম্মিলিত পাঠাগার আন্দোলন
মোঃ কামরুজ্জামান। জন্ম ২১ মে ১৯৯০ সালে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার চৌরাকররা গ্রামের সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে। মগড়া পালস্ ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি ও মেজর জেনারেল মাহমুদুল হাসান আদর্শ মহাবিদ্যালয় থেকে এইচএসসি পাস করে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ক্রিমিনোলজি অ্যান্ড পুলিশ সায়েন্স বিষয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভিক্টিমোলজি অ্যান্ড রেস্টোরেটিভ জাস্টিস বিষয়ে বিশেষায়িত স্নাতকোত্তর ডিগ্রী অর্জন করেন। পরবর্তীতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএল.বি ডিগ্রী লাভ করেন। পড়া-লেখা শেষে তিনি সরকারি চাকুরীতে যোগদান করেন।
মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালে দৈনিক মজলুমের কন্ঠ ও দৈনিক সকালের খবর পত্রিকার বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি হিসেবে প্রায় অর্ধ-যুগ সাংবাদিকতা করেন এবং প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হিসেবে মাভাবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতি গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
অপরাধ বিজ্ঞানে বিশেষ আগ্রহ থাকায় তিনি এ বিষয়ে গবেষণায় মনোযোগী হোন। তার প্রকাশিত বেশকিছু গবেষণা প্রবন্ধ বিদেশী বিভিন্ন জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন ২০১০ সালে নিজ গ্রামের তরুণদের নিয়ে প্রতিষ্ঠা করেন “‘বাতিঘর আাদর্শ পাঠাগার”। পরে এই পাঠাগার এর বিভিন্ন উদ্যোগ বিশেষ করে অণুপাঠাগার (সেলুন, বাসস্ট্যান্ড, রেলস্টেশন, রেস্টুরেন্ট) কার্যক্রম দেশব্যাপী সুনাম অর্জন করে এবং বইপ্রেমীদের মধ্যে আলোড়ন সৃষ্ট করে। এছাড়াও ২০১৫ সালে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর কল্যাণে সাধনে “ভিলেজ ডেভেলপমেন্ট গ্রুপ” নামে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন গড়ে তোলেন।
গ্রামাঞ্চলে পাঠাগার প্রতিষ্ঠা করে বই পড়া আন্দোলনে ভূমিকা রাখার জন্য তাকে প্রথমআলো বন্ধুসভা সম্মাননা-২০২১, পাঠশালা ইমার্জিং লিডার অ্যাওয়ার্ড-২০২২ এবং তার প্রতিষ্ঠিত বাতিঘর আদর্শ পাঠাগারকে ইস্টিশন পাঠাগার সম্মাননা-২০২৩ প্রাদান করা হয়।
২০২২ সালের ২২-২৪ ডিসেম্বরে বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো তিনদিনব্যাপী আবাসিক পাঠাগার সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এ সম্মেলনে ঢাকা বিভাগীয় সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করেন মোঃ কামরুজ্জামান। পরবর্তীতে পাঠাগার আন্দোলনকে আরো গতিশীল করার লক্ষ্যে গঠিত “সম্মিলিত পাঠাগার আন্দোলন” এর কেন্দ্রীয় কমিটিতে তাকে অর্থ সম্পাদকের দায়িত্ব প্রদান করা হয়।
সমাজে জ্ঞানের আলো ছড়ানোর পাশাপাশি সুবিধাবঞ্চিত মানুষের সেবায় কাজ করাই তার ব্রত।