জুলিয়াস সিজার তালুকদার
সাধারণ সম্পাদক
সম্মিলিত পাঠাগার আন্দোলন
জুলিয়াস সিজার তালুকদার একজন সংগঠক, উদ্যোক্তা, লেখক ও তরুণ রাজনীতিক৷ তিনি নিম্ন মাধ্যমিক পর্যায়ে অধ্যয়নকালে ‘গ্রাম পাঠাগার আন্দোলন’-এর একজন কর্মী হিসেবে সাংগঠনিক কাজে অংশ নেন৷ ২০০৮ সালে নিজ বিদ্যালয় ‘ভূঞাপুর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়’-এ বন্ধুদের নিয়ে পাঠচক্র গড়ে তোলেন৷ ২০০৯ সালে ‘গ্রাম পাঠাগার আন্দোলন’-এর সংগঠক আবদুস ছাত্তার খানের সরাসরি প্রেরণা ও তত্ত্বাবধানে ‘লাইসিয়াম গণিত ও বিজ্ঞান সংঘ’ এবং ‘আব্দুল্লাহ আল মূতী বিজ্ঞান গ্রন্থাগার’ স্থাপনে মূখ্য ভূমিকা রাখেন৷ তিনি ‘লাইসিয়াম গণিত ও বিজ্ঞান সংঘ’-এর সভাপতি হিসেবে (২০১১-২০১৩) দায়িত্ব পালন করেন৷ এই সংগঠন তৎকালীন সময়ে গণিতভীতি দূরীকরণ ও বিজ্ঞান জনপ্রিয়করণ কর্মসূচী হাতে নিয়ে ভূঞাপুর উপজেলার অসংখ্য বিদ্যালয়ে সেমিনার ও কর্মশালা পরিচালনা করে৷ ২০১৩ সালে বিজ্ঞান মেলা ও গণিত অলিম্পিয়াড আয়োজন করে৷
২০১৪-২০১৫ শিক্ষাবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গনেও পাঠচক্র কার্যক্রম অব্যাহত রাখেন ও ২০১৬ সালে প্রতিষ্ঠা করেন অতন্দ্র বাংলাদেশ ও অতন্দ্র পাঠশালা৷ অতন্দ্র বাংলাদেশ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠ জনপ্রিয়করণ কর্মসূচী পালন করে। অতন্দ্র পাঠশালা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়মিতভাবে
সাপ্তাহিক পাঠচক্র আয়োজন করে।
দীর্ঘ ২৮ বছর পর ২০১৯ সালে ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়৷ এসময় তিনি বাংলাদেশের প্রথম ও সবচেয়ে ঐতিহ্যবাহী ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে বিপুল ভোটে বিজয়ী হন৷ পরবর্তী সময়ে অতীতের অচলায়তন ভেঙে হল প্রাঙ্গনে ক্রীড়া ও সংস্কৃতি চর্চা অব্যাহত রাখতে মূখ্য ভূমিকা রাখেন৷
২০২০ সালে বৈশ্বিক করোনা মহামারিতে দেশের সর্বত্র মানুষের দুর্দশা বৃদ্ধি পায় ও আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়৷ এসময় টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর থানাধীন গাড়াবাড়ী গ্রামে মেহেদী মোস্তফা নামে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র খুন হলে তিনি এর বিচারের জন্য সোচ্চার হোন ও গড়ে তোলেন ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নিরাপত্তা মঞ্চ’। এই সংগঠনটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা সংক্রান্ত সকল সংকটে ত্রাণকর্তা হিসেবে কাজ করে৷ এটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য সংগঠন হিসেবে খ্যাতি লাভ করে৷ ১০০০০ শিক্ষার্থী এই সংগঠনকে শতবর্ষের সেরা সংগঠন হিসেবে আখ্যা দেয়৷ ২০২২ সালে ২১ জুন পর্যন্ত সংগঠনটি প্রায় ৫ শতাধিক কেস সমাধানের মাধ্যমে মোট ১১০০০ এর অধিক শিক্ষার্থীকে সেবাদান করেছে।
জুলিয়াস সিজার তালুকদার বিশ্বাস করেন, ‘মানুষের যথার্থ বিকাশ ও মেধার উন্মেষ করতে পাঠাগারের ভূমিকা প্রধান৷ সমাজ-রাষ্ট্রের সংকট মোকাবেলা ও সমৃদ্ধি নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে উপযুক্ত মানবসম্পদ গঠনে কেবল পাঠাগারই হতে পারে সর্বজনীন প্রতিষ্ঠান’৷
‘২০২২ সালের ২২,২৩ ও ২৪ ডিসেম্বর টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার অর্জুনা গ্রামে ‘সম্মিলিত পাঠাগার আন্দোলন’ আয়োজিত ‘পাঠাগার সম্মেলন-২০২২’ এর আয়োজক পরিষদের সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সম্মেলনকালে পাঠাগার সংগঠকদের প্রস্তাবিত সাংগঠনিক কাঠামোতে তাকে ‘সম্মিলিত পাঠাগার আন্দোলন’-এর এর কেন্দ্রীয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মনোনীত করা হয়৷