মহাকাশে প্রতিনিয়ত ঘটে চলেছে আশ্চর্য সব ঘটনা। এই মাসে ২৩ সেপ্টেম্বর পৃথিবীতে দিন রাত সমান হবে। এরপর শুরু হবে সূর্যের দক্ষিণায়ন। এছাড়া আমরা খালি চোখে দেখতে পাব একটি ধূমকেতুকে। ধূমকেতু হল ধুলো, বরফ ও গ্যাসের তৈরি এক ধরনের মহাজাগতিক বস্তু যা সূর্যের খুব নিকট দিয়ে পরিভ্রমণ করার সময় দর্শনীয় কমা এবং কখনও লেজও প্রদর্শন করে । প্রস্থে কয়েকশ মিটার থেকে দশ কি.মি. এবং লেজ দৈর্ঘ্যে কয়েকশ কোটি কি.মি. পর্যন্ত হতে পারে । মানুষ সুপ্রাচীন কাল থেকে ধূমকেতু নিয়ে জল্পনা কল্পনা করছে।
চলতি বছরের ১১ আগস্ট এই ধূমকেতুটি আবিষ্কার করেছিলেন জ্যোতির্বিদ হিডিও নিশিমুরা। তার নামেই এটির নামকরণ করা হয়।
নিশিমুরা ধূমকেতু ১২ সেপ্টেম্বর থেকে দেখা যাবে। আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর সূর্যের সবচেয়ে কাছে আসবে নিশিমুরা। সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে পরে তা চলে যাবে দূর মহাকাশে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এ ধূমকেতুটি আবার ৪৩৭ বছর পর পৃথিবীর কাছাকাছি আসবে।
রাত যত গভীর ও অন্ধকার হবে, নিশিমুরা ধূমকেতু দেখার সম্ভাবনা তত বেড়ে যাবে। যখন পৃথিবীর কাছে আসবে আকাশ পরিষ্কার থাকলে সূর্যাস্ত থেকে সূর্যোদয় পর্যন্ত খালি চোখে দেখা যাবে ধূমকেতুটি, টেলিস্কোপের প্রয়োজন হবে না। প্রতি ঘণ্টায় ২৪০,০০০ মাইল গতিতে চলমান এই ধূমকেতু সৌরজগৎ ছেড়ে গেলে আবার ফিরতে ৪৩৭ বছর সময় লাগবে। (তথ্য কৃতজ্ঞতা – প্রথম আলো, সময়, ৭১, ইত্তেফাক, উইকিপিডিয়া)
সম্মিলিত পাঠাগার আন্দোলন-Sammilito Pathagar Andolan শিশু-কিশোরদের মনে মহাকাশ নিয়ে আগ্রহ জাগিয়ে তোলার জন্য দেশ জুড়ে গড়ে উঠা পাঠাগারগুলোকে উপহার দিচ্ছে মহাকাশ বিষয়ক বই। আর এ কাজে এগিয়ে এসেছে প্রবাসী বন্ধুদের সংগঠন ‘একতারা ‘।
‘একতারা ‘ র উদ্যোগে সম্মিলিত পাঠাগার আন্দোলন এর সহযোগিতায় ৫ টি পাঠাগার কে পাঠানো হল বিশিষ্ট লেখক আলী ইমাম রচিত পৃথিবী, চাঁদ, গ্রহ, সৌরজগৎ, মহাবিশ্ব নিয়ে ছোটদের উপযোগী ১৫ টি করে বই। আশা করি বইগুলো ছোটদেরকে এই বিপুল রহস্যের আধার মহাবিশ্ব সম্পর্কে অনুসন্ধিৎসু করে তুলবে।
পাঠাগারগুলো হল-
১ পাঠকবন্ধু পাঠাগার এন্ড রিসার্চ সেন্টার, মৌশা, মহম্মদপুর, মাগুরা
২ বিমল সরকার সাহিত্য সম্ভার ও পাঠাগার, তুলসীঘাট, গাইবান্ধা
৩ স্বপ্নচূড়া পাঠাগার, তুলসীঘাট,গাইবান্ধা
৪ সেবাদান সমাজ কল্যাণ গণগ্রন্থাগার, কেশবপুর, যশোর
৫ মনোহরপুর গণগ্রন্থাগার, মনিরামপুর, যশোর
অচিন পাখি, গ্রাম পাঠাগার আন্দোলন সম্মিলিত পাঠাগার আন্দোলন-Sammilito Pathagar Andolan একতারা