শিবলী হাওলাদার
কার্যনির্বাহী সদস্য
সম্মিলিত পাঠাগার আন্দোলন
শিবলী হাওলাদার
জন্ম: ২৮ আগষ্ট ১৯৯০
তার জন্ম ১৯৯০ সালের ২৮ আগষ্ট লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতি উপজেলার চর কলাকোপা গ্রামে।
শিবলী হাওলাদার একজন শিল্পী চালিত এবং সৃষ্টিতে সক্রিয় একজন বাংলাদেশের উদীয়মান তরুণ চিত্রশিল্পী।
যার মন প্রাণ সব সময়ই সুস্হ সংস্কৃতির নির্জনতায় বসবাস করে। শিল্পী শিবলী হাওলাদার ভারাক্রান্ত হয় যদি তার মনের জানালার পর্দা না নড়ে যদি সে ছবি তুলতে না পারে, যদি কাগজ, কলম, পেন্সিল বা কাঠকয়লার শব্দ তার কানের পর্দা না নাড়ায়। সম্প্রতি কাক সিরিজ ও ক্যালিগ্রাফী শিল্পের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা এই শিল্পী ভাংচুরের প্রত্যয় নিয়ে অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে উদ্ভাবনে অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন।
তরুণ এই শিল্পীর ‘ট্রাজেডি সিরিজের শিল্পকর্ম’ শিল্পী সমাজে ব্যাপক শুনাম অর্জন করেছে। প্রকৃতি ও মানুষের সান্নিধ্যই বেঁচে থাকার ভিত্তি, সৃষ্টির প্রেরণা। শিল্পী মাঝে মাঝে কলম তুলে নেন সমাজের নানান অনিয়মের বিরুদ্ধে বিপ্লবী ভাষার অনুরণনে।
চিত্রনাট্যের প্রতি এক অপ্রতিরোধ্য আকর্ষণ তাকে সাংগঠনিক অনুশীলনে সক্রিয় রাখে।
লাইব্রেরী আন্দোলন, সামাজিক সংগঠন, ফটোগ্রাফি,
ছিন্নমূল শিশুদের সাথে কাজ করার আগ্রহ তাকে একজন দায়িত্বশীল ও মানবিক ব্যক্তি হিসেবে গড়ে তোলার জন্য জীবিত ও প্রাণবন্ত রাখে।
তিনি দেশ-বিদেশে ৩৫টির বেশি গ্রুপ প্রদর্শনী, জাতীয় প্রদর্শনী সহ শিল্প কর্মশালা এবং শিল্পীদের সাথে আলোচনায় সক্রিয় রয়েছেন।
শিবলী হাওলাদার এর শিক্ষা জীবন শুরু গ্রামের
‘উত্তর চর আবদুল্যাহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে’
তিনি শান্ত-মারিয়াম ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজি থেকে চারুকলায় স্নাতোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।
সামাজিক সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ততা:
২০০৭ সাল থেকে বন্ধুমহল ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য এবং সহ-সভাপতি হিসেবে ৩য় বারের মত দায়িত্ব পালন করছেন পাশাপাশি বন্ধুমহল পাঠাগার নিয়েও কাজ করে যাচ্ছেন।
২০১২ সাল থেকে পথ শিশুদের নিয়ে ঢাকার এয়ারপোর্ট রেলওয়ে স্টেশনে “চেঞ্জ দ্যা লাইভস” এর হয়ে সিনিয়র স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করছেন।
এর পাশাপাশি ভলান্টিয়ার ফর বাংলাদেশ, জাগো ফাউন্ডেশন, বিদ্যানন্দ, সিসিপি ফাউন্ডেশন, পারী ফাউন্ডেশন এবং মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন সহ কয়েকটি সামাজিক সংগঠন এর সাথে সিনিয়র ভলান্টিয়ার হিসেবে কাজ করেছেন।
শিল্পীদের কল্যাণে কাজ করার প্রত্যয়ে গঠিত “ভারমিলিয়ন আর্টিস্ট সোসাইটির” প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এবং এমএইচ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য সচিব
কর্মক্ষেত্র: বর্তমানে তার নিজ প্রতিষ্ঠান “চারকোল আর্ট স্টুডিও” এর কর্ণধার। পাশাপাশি তিনি ফ্রিল্যান্স আর্টিস্ট, ইন্টেরিয়র ডিজাইন এবং বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএফডিসিতে)
আর্ট ডিরেক্টর হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন।
পুরষ্কার ও সম্মাননা:
২০১৩ – ২য় গ্র্যান্ড পুরষ্কার,
ইন্টার ইউনিভার্সিটি আর্ট প্রদর্শনী,
ঢাকা আর্ট সেন্টার।
২০১৫ – সম্মানসূচক পুরষ্কার
আঁকিবুঁকির ক্যানভাস, ঢাকা।
২০১৬ – সম্মানসূচক পুরষ্কার
নস্টালজিয়া আর্ট প্রদর্শনী, আইসিসিআর কোলকাতা।
২০১৬ – বিশেষ সম্মানসূচক পুরষ্কার
১৫ আগষ্ট বঙ্গবন্ধু চিত্র প্রদর্শনী, ঢাকা।
২০১৭ – বিশেষ সম্মাননা পুরষ্কার
শিল্পী এসএম সুলতান জন্মোৎসব, নড়াইল।
২০১৯ – সম্মাননা পুরষ্কার, শিল্পীর চোখে বঙ্গবন্ধু
জেলা শিল্পকলা একাডেমি ও
ময়মনসিংহ বিভাগীয় চারুশিল্পী পর্ষদ, ময়মনসিংহ।
২০২০ – সেরা ৫ম পুরস্কার, অনলাইন আন্তর্জাতিক আর্ট প্রদর্শনী, ফোকাস বাংলাদেশ, ঢাকা।
২০২০ – সম্মানসূচক পুরষ্কার,
১ম জাতীয় জলরং চিত্রপ্রদর্শনী,
IWS বাংলাদেশ, ঢাকা।
২০২১ – সেরা নবীন শিল্পী পুরষ্কার
মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশ, সোসাইটি ফর এ্যাক্ট, কুমিল্লা।
পাঠাগার আন্দোলনকে আরো তরান্বিত করার লক্ষে গঠিত “সম্মিলিত পাঠাগার আন্দোলন” এর কেন্দ্রীয় কমিটিতে কার্যনির্বাহী সদস্য মনোনীত হয়েছেন।
সম্মিলিত পাঠাগার আন্দোলনের সম্মেলন মঞ্চসহ যাবতীয় সাজসজ্জার সহযোগী শিল্পী হিসেবে শিল্পকাজে সুচারুভাবে সম্পাদনা করেছেন তিনি।