পলাশ কুমার রায়,সমাজসেবা সম্পাদক, সম্মিলিত পাঠাগার আন্দোলনের সংক্ষিপ্ত জীবন বৃত্তান্ত।
পলাশ কুমার রায়
সমাজসেবা সম্পাদক
সম্মিলিত পাঠাগার আন্দোলন
পলাশ কুমার রায়
ভাওয়াইয়া গানের ধাম নদনদীময় কুড়িগ্রামে ১৭ জানুয়ারি ১৯৮৭ খ্রিস্টাব্দে পলাশ কুমার রায় এর জন্ম। ২০০২ খ্রিস্টাব্দে দুর্গাপুর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এস এস সি পাশ করেন। এই বিদ্যালয়ে কবিতা আবৃত্তি, নাটিকাতে অভিনয় এর মধ্য দিয়ে সাহিত্য সংস্কৃতিতে হাতে খড়ি। পলাশ কুমার রায় এর প্রথম সাংস্কৃতিক গুরু দুই বাংলার খ্যাতিমান ভাওয়াইয়া শিল্পী ভূপতি ভূষণ বর্মা। কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজে এইচ এস সি এবং কারমাইকেল কলেজ, রংপুর থেকে প্রাণিবিদ্যায় অনার্স ও মাস্টার্স সম্পন্ন করেন।
কারমাইকেল কলেজে পড়াকালীন বহু সাংগঠনিক কার্যক্রমের সাথে যুক্ত থাকেন। এর মধ্যে অন্যতম বিতর্ক পরিষদ।বিতর্ক পরিষদ, কারমাইকেল কলেজ,রংপুর এর আয়োজনে দুই দিনব্যাপী “রংপুর বিভাগীয় বিতর্ক কর্মশালা”র আহবায়ক হিসেবে পলাশ কুমার রায় একটি সফল অনুষ্ঠান উপহার দেন। প্রফেসর মো: শাহ আলম তাঁর কারমাইকেল কলেজ জীবনের বিতর্ক, আবৃত্তি এবং বিবিধ সাংগঠনিক কর্মকান্ডের গুরু।
একাডেমিক পড়াশুনা শেষে ঢাকাতে অবস্থানকালে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের আলোর ইশকুল এর ৪র্থ আবর্তনের একজন শিক্ষার্থী হিসেবে পূর্ণিমা উৎসব, ভ্রমণ, সিনেমা দেখা, গান শোনা সর্বোপরি আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ স্যারের পাঠচক্রে অংশগ্রহণ করেন। স্যারের সংস্পর্শে এসে তাঁর জীবনের উপলব্ধিগুলো আরো শাণিত হয়,চিন্তার নতুন নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়।
২০০৮ খ্রিস্টাব্দে মন্ডলহাট তাঁর নিজ এলাকায় বন্ধু এবং ছোট বড় ভাইদের নিয়ে গড়ে তোলা সচেতন শিক্ষার্থী সংঘ (সশিস) নামক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের দ্বিতীয় মেয়াদে সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। তাঁর দায়িত্ব পালনকালে ২০১১ খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠা করা হয় সচেতন শিক্ষার্থী সংঘ (সশিস) পাঠাগার। বর্তমানে এই পাঠাগারে শিশু কিশোরদের পাঠমুখী করার জন্য তিনি নিরলসভাবে শ্রম দিয়ে যাচ্ছেন।
আবদুস ছাত্তার খান এবং জুলিয়াস সিজার তালুকদার এঁর নেতৃত্বে টাঙ্গাইলে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম “পাঠাগার সম্মেলন ২০২২” এ অংশগ্রহণ করেন। বর্তমানে সম্মিলিত পাঠাগার আন্দোলন এর সমাজসেবা সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।