খসড়া ঘোষণাপত্র
স্বাধীন সার্বভৌম গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশে পাঠাগার আন্দোলনের মাধ্যমে অমর একুশে ও মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিকাশে সর্বদা কাজ করবে। স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়নে নিয়োজিত থাকতে একই সঙ্গে সাম্রাজ্যবাদী সংকীর্ণ, বিকৃত এবং অপসংস্কৃতির পরিবর্তে জাতীয় সংস্কৃতির সঠিক বিকাশের অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টিতে আমরা বদ্ধপরিকর থাকবো। সমাজে মেহনতি মানুষের মুক্তিতে যেহেতু সমাজের সকল শ্রেণির মানুষের সার্বিক মুক্তি নিহিত, সেহেতু মেহেনতি মানুষের সার্বিক মুক্তির চেতনাকে লক্ষ্যের ভেতরে সম্মিলিত পাঠাগার আন্দোলন তার সকল কর্মসূচি প্রনয়ণ ও বাস্তবায়নে বদ্ধপরিকর থাকবে। সম্মিলিত পাঠাগার আন্দোলন চায় ধর্ম, বর্ণ, সম্প্রদায়, ও জাতিসত্তা নির্বিশেষে সারা দেশবাসীর মধ্যে নিবিড় ভাতৃত্ববোধের সম্পর্ক। যেহেতু যুদ্ধ বিশ্বমানব, মানবতা, সভ্যতা ও সংস্কৃতির দুশমন, সেহেতু সম্মিলিত পাঠাগার আন্দোলন যুদ্ধের বিরুদ্ধে ও বিশ্ব শান্তির পক্ষে তার পাঠাগার আন্দোলনের মধ্য দিয়ে জ্ঞানের আলো ছড়ানোর কাজ সর্বোতভাবে তৎপর থাকবে। ধর্মীয় গোঁড়ামি, অন্ধবিশ্বাস, কূপমন্ডুকতা, কুসংস্কারের বিপরীতে আধুনিক বিজ্ঞানমনস্ক ও সৃজনশীল সমাজ বিনির্মানে সম্মিলিত পাঠাগার আন্দোলন জোরালো ভূমিকা রাখবে।
দেশের সকল প্রথিতযশা ও সম্ভাবনাময় শিল্পীকর্মীর সৃজনশীল কর্মপ্রয়াসকে সুখী সুন্দর সমাজ বিকাশের স্বার্থে সম্মিলিত পাঠাগার আন্দোলন এর অঙ্গীভূত হবে। সমাজ জীবনে বিপথগামী ও কলুষিত করতে পারে দেশে এ জাতীয় অপসংস্কৃতির অনুপ্রবেশ প্রতিরোধে সম্মিলিত পাঠাগার আন্দোলন দৃঢ় প্রদক্ষেপ গ্রহণ করবে। পাঠাগার আন্দোলনকে অর্থলোভী ও স্বার্থের কারণে অপব্যবসায়ীদের হাত থেকে মুক্ত করা এবং পাঠাগারকে আমাদের সমাজ বাস্তবতার যথার্থ প্রতিফলন ঘটিয়ে সুখী সমাজ গঠনে এর ভূমিকা যথাযথভাবে কাজে লাগানোর জন্য সম্মিলিত পাঠাগার আন্দোলন কাজ করবে। সকল পর্যায়ে স্বাধীনভাবে মত প্রকাশের স্বাধীনতার জন্য সম্মিলিত পাঠাগার আন্দোলন কাজ করবে। দেশের সকল দুর্যোগে সম্মিলিত পাঠাগার আন্দোলন সাধ্যানুযায়ী মোকাবিলায় অংশ নেবে। জাতীয় দিবস যথাযথ মর্যাদায় পালন করা সম্মিলিত পাঠাগার আন্দোলনের কর্মসূচির অঙ্গীভূত। পাঠাগার আন্দোলন দেশব্যাপী গ্রাম শহরের প্রতিটি পর্যায়ে ছড়িয়ে দিতে সম্মিলিত পাঠাগার আন্দোলন সর্বোচ্চ পর্যায়ে কাজ করবে। পরিবেশ- প্রতিবেশ- প্রাণ- প্রকৃতি রক্ষায় তৎপর থাকবে সবসময়। পাঠাগার আন্দোলনের মধ্যদিয়ে মুক্ত চিন্তার মুক্ত প্রকাশ মুক্ত বিকাশসহ মুক্ত মানবিকতার মুক্ত সমাজের বিনির্মানের লক্ষ্যে সম্মিলিত পাঠাগার আন্দোলন সর্বোচ্চভাবে জ্ঞানভিত্তিক কাজ পরিচালনা করবে। ইতিহাস, ঐতিহ্য,কৃষ্টি,সংস্কৃতি সংরক্ষণে সমৃদ্ধ ভূমিকা রাখবে।
অনুচ্ছেদ- ১
ক. নামঃ
এই সংগঠন সম্মিলিত পাঠাগার আন্দোলন নামে পরিচিত হবে।
খ. বৈশিষ্ট্যঃ
এটি একটি দেশপ্রেমিক, স্বেচ্ছাসেবী, প্রগতিকামী, বিজ্ঞানমনষ্ক ও আবহমান বাংলার সব মতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল জাতীয় পাঠাগার সংগঠন।
গ.কার্যালয়ঃ
সম্মিলিত পাঠাগার আন্দোলন এর কেন্দ্রীয় কার্যালয় সংগঠনটির প্রথম সম্মেলন স্থান টাংগাইলের ভূঞাপুর উপজেলার অর্জুনা গ্রামে অবস্থিত হবে।
ঢাকাস্থ কার্যালয়-১: ৩/৬ হুমায়ূন রোড, ব্লক-বি, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭।
ঢাকাস্থ কার্যালয়-২: ১৬৩ ড. কুদরত-ই-খোদা রোড, হাতিরপুল কাঁচাবাজার, ঢাকা-১২০৫।
এছাড়াও কেন্দ্রীয় কমিটির অনুমতি সাপেক্ষে বাংলাদেশের প্রতিটি বিভাগ, জেলা ও উপজেলায় আঞ্চলিক দফতর থাকবে।
ঘ.প্রতিকঃ
সংগঠনের আদর্শ, উদ্দেশ্য ও লক্ষ্যের সাথে সংগতি রেখে সংগঠনের প্রতিক অংকিত।
[প্রতিকের বর্ণনা ও তাৎপর্য শামীম আকন্দ তৈরি করবেন]
ঙ.পতাকাঃ
রং (নীল / সাদা বা যে কোনো রঙ)
দৈর্ঘ্য: প্রস্থ= ৩:২
(আনুপাতিক হারে ছোট বা বড় করা যাবে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা অনুসারে)
মাঝখানে সংগঠনের প্রতিক থাকবে।
অনুচ্ছেদ-২: লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যঃ
ক. গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের জাতীয় গ্রন্থাগার নীতি-২০২৩ এর ৩.২ ধারা অনুযায়ী দেশের একজন নাগরিক যেনো তাঁর বাসস্থানের দুই কিলোমিটারের মধ্যে একটি গণগ্রন্থাগার বা এর শাখা গ্রন্থাগার থেকে পরিষেবা পেতে পারেন সেই লক্ষ্য বাস্তবায়নে কাজ করা।
খ. দেশের পাঠাগারসমূহকে গণমানুষের জন্য সহশিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলা।
গ. পাঠাগার আন্দোলন বিকাশে রাষ্ট্র বা সরকার, দেশি-বিদেশি উন্নয়ন সহযোগী প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তিবর্গের সাথে সমন্বয় সাধন করে কাজ করা।
ঘ. পাঠাগার আন্দোলন বিকাশে নিরিক্ষাধর্মী ও গবেষণামূলক কাজ পরিচালনার উদ্যোগ গ্রহণ করা।
ঙ. পাঠাগারসমূহকে পর্যায়ক্রমে সামাজিক, সাংস্কৃতিক, ক্রীড়া, সমাজসেবা ও সাহিত্য নির্ভর মিলনকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ করা।
চ.পাঠাগার আন্দোলনের পাশাপাশি আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে সৃজনশীল উদ্যোগ গ্রহণ করা।
ছ. পাঠাগার ও পাঠাগার আন্দোলন বিকাশে স্বেচ্ছাশ্রমকে উদ্বুদ্ধ করতে উদ্যোগ গ্রহণ করা।
জ. কর্পোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতা (CSR) নীতিমালা ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে “ভিশন ২০৪১” এবং ৪র্থ শিল্প বিপ্লবকে এগিয়ে নিতে যৌক্তিকভাবে পাঠাগার সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কাজ করা।
ঝ. পাঠাগারের মাধ্যমে উদ্যোক্তার সামাজিক দায়বদ্ধতা (বা ইএসআর) পালনের জন্য সুযোগ সৃষ্টি করা।
ঞ. জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (SDG) ১৭টি বিষয়ে (২০২০-২০৩০) উদ্বুদ্ধকরণসহ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কর্মসূচি পরিচালনা করা।
ট. পাঠাগার আন্দোলনকে গ্রাম-শহরের প্রতিটি পর্যায়ে ছড়িয়ে দিতে নিয়মিতভাবে প্রচার ও প্রকাশনা কার্যক্রম পরিচালনা করা।
ঠ. তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় স্মার্ট পাঠাগার ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে পাঠাগারকে গণমানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছিয়ে দিতে উদ্যোগ গ্রহণ করা।
ড. সারাদেশের সর্বক্ষেত্রে বৈষম্য দূরীকরণে পাঠাগার আন্দোলনের ভূমিকা অপরিসীম ও অপরিহার্য মনে করে কার্যক্রম পরিচালনা করা।
ঢ. পাঠাগারের মাধ্যমে পরিবেশ, প্রতিবেশ, প্রাণ, প্রকৃতি, জীববৈচিত্র্য ও জলবায়ু বিষয়ক সচেতনতামূলক উদ্যোগ গ্রহণ করা।
ণ. দক্ষতা উন্নয়ন এবং কর্মসংস্থান (কোমল দক্ষতা, মেধা, মননশীলতা) নিয়ে পাঠাগারকেন্দ্রিক উদ্যোগ গ্রহণ করা।
ত. মৌলিক সাহিত্যের বিকাশ, সংরক্ষণ, প্রচার ও প্রকাশনামূলক কর্মসূচি গ্রহণ করা।
থ. নতুন প্রজন্মকে মহান মুক্তিযুদ্ধ ও ভাষা আন্দোলনসহ ঐতিহাসিক লড়াই-সংগ্রাম সম্পর্কে অবহিত করণে বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ ও কর্মসূচী গ্রহণ করা।
দ. পাঠাগার আন্দোলনের মাধ্যমে যৌথতার ভিত্তিতে কৃষি কেন্দ্রিক সাম্যের সমাজ গঠনে কাজ করা।
ধ. বিভিন্ন পেশাজীবীদের (যেমন- গার্মেন্টস কর্মী, কৃষক, পরিবহন চালক-শ্রমিক, চা বাগান শ্রমিক,দর্জি, জেলে, কলকারখানার শ্রমিক প্রভৃতি) পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধি, আত্মিক বিকাশ, আর্থ-সামাজিক সমৃদ্ধির জন্য বিশেষায়িত পাঠাগার স্থাপন করা।
ন. ন্যায়বিচার নিশ্চিতকরণসহ মানবিক সমাজ গঠনে পাঠাগার আন্দোলনের ভূমিকা বৃদ্ধি করে সময়োপযোগী কর্মসূচি প্রনয়ণ করা।
প. পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে সমাজের মূলস্রোতে একীভূত করতে পাঠাগার আন্দোলনের মাধ্যমে কাজ করা।
ফ. পাঠচক্র, দেয়ালিকা, লিটলম্যাগ প্রকাশনাসহ সৃজনশীল কর্মসূচির মাধ্যমে পাঠাগার আন্দোলনের ভূমিকা বিস্তারে কাজ করা।
ব. ইতিহাস ও ঐতিহ্য সংরক্ষণে পাঠাগার আন্দোলনের মাধ্যমে সচেতনতা বৃদ্ধিসহ ভূমিকা রাখা।
ভ. পাঠাগার আন্দোলনের বিকাশে নানা বিষয়ে সভা, সেমিনার, সিম্পোজিয়াম, প্রশিক্ষণসহ প্রভৃতি কর্মসূচি নিয়মিতভাবে গ্রহণ করা।
ম. সারা বাংলাদেশের গ্রাম-শহরের প্রতিটি পর্যায়ে গণমানুষের বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে পাঠাগার গড়ে তুলতে উদ্বুদ্ধ করা।
য. সকল প্রকার আধুনিক গণমাধ্যম ও সামাজিক গণমাধ্যমসমূহে প্রচারণার মধ্য দিয়ে পাঠাগার আন্দোলনের বিকাশ ও বিস্তারে কাজ করা।
র. পাঠাগার আন্দোলন ছড়িয়ে দিতে সামাজিক দায়বদ্ধতা সৃষ্টিতে কাজ করা।
ল. পাঠাগার আন্দোলনে ভূমিকা রাখা সহ নানাপর্যায়ের গুণীজনদের সন্মাননা প্রদান ও তরুণ প্রজন্মকে অনুপ্রেরণা সন্মাননা প্রদানের নিয়মিত আয়োজন করা।
ষ. দেশের সকল দুর্যোগ মোকাবেলায় পাঠাগার আন্দোলন সবসময় সন্মুখ সারির যোদ্ধা হিসেবে কাজ করা।
স. জাতীয় দিবসসমূহ পালনের পাশাপাশি বাঙালি কৃষ্টি-সংস্কৃতি-ঐতিহ্য উদযাপন করা।
হ. অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ, বিজ্ঞানমনস্ক ও সৃজনশীল মুক্তমতের স্বাধীন মানুষ গড়ে তুলতে পাঠাগার আন্দোলন ভূমিকা রাখবে।
ড়. তৃণমূল পর্যায়ে নিয়মিতভাবে বইমেলার আয়োজনে উদ্বুদ্ধ করা।
ঢ়. রাষ্ট্র বা সরকার কর্তৃক গ্রন্থাগার বা পাঠাগার কেন্দ্রিক তহবিল বা যেকোনো বিষয়ে অংশীজন হিসেবে পাঠাগার আন্দোলন যথাযথভাবে সচ্ছতা ও জবাবদিহিতার সাথে দায়িত্ব পালন করতে বাধ্য থাকবে।
য়) শিশু, কিশোর-কিশোরীদের মননশীলতা বিকাশে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করা।
স) প্রবীণদের অভিজ্ঞতা বিনিময়ের কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে পাঠাগারকে ব্যবহার করা।
Best practice sharing ****
অনুচ্ছেদ-৩: সদস্যপদঃ
ক. ধর্ম, বর্ণ, দল, মত নির্বিশেষে বাংলাদেশের অমর একুশে, মহান মুক্তিযুদ্ধ ও সার্বভৌমত্বের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং সম্মিলিত পাঠাগার আন্দোলন এর ঘোষণাপত্র ও গঠনতন্ত্রের প্রতি বিশ্বাসী, বিজ্ঞানমনস্ক ও অসাম্প্রদায়িক চেতনাসম্পন্ন বাংলাদেশের যেকোনো অঞ্চলের যে কোনো ব্যক্তি সদস্যপদ লাভের যোগ্য বলে বিবেচিত হবে।
গ. সদস্য পদপ্রার্থীকে ১০০ টাকা বাৎসরিক সদস্যভুক্তি চাঁদা প্রদান করে সংশ্লিষ্ট পাঠাগার বা শাখার সভাপতি বরাবরে নির্ধারিত আবেদনপত্রে আবেদন করতে হবে। আবেদন পত্রে প্রস্তাবক ও সমর্থক হিসেবে পাঠাগার বা শাখার কার্যনির্বাহী পরিষদের ২ জন সদস্যের স্বাক্ষর থাকতে হবে।
ঘ. পাঠাগার বা শাখা যেকোনো প্রার্থীকে সদস্যপদ করতে পারে। তবে তা চুড়ান্ত অনুমোদনের জন্য কেন্দ্রীয় পরিষদের কাছে পেশ করতে হবে। কেন্দ্রীয় পরিষদ যেকোনো সদস্য পদপ্রার্থীর আবেদন গ্রহণ বা অগ্রাহ্য করতে পারে। কোন পাঠাগার বা শাখার প্রাথমিক সদস্যপদ নিয়ে সমস্যার উদ্ভব হলে এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে কেন্দ্রীয় পরিষদ। প্রতি ২বছর পর (সম্মেলনের আগে) সম্পূর্ণ বকেয়া চাঁদা (যদি থাকে) এবং সদস্যপদ নবায়ন (সদস্য ভুক্তি চাঁদা পরিমাণ) টাকা দিয়ে নবায়ন ফি দিয়ে সদস্যপদ নবায়ন করতে হবে।
ঙ. সাধারণ সদস্যপদ ত্যাগ করবার অধিকার সকল সদস্যের থাকবে। পদত্যাগে ইচ্ছুক সদস্যকে অন্ততপক্ষে একমাসের নোটিশে পদত্যাগের কারণ বর্ণনাসহ সভাপতি বরাবরে সাধারণ সম্পাদকের নিকট পদত্যাগপত্র দাখিল করতে হবে। নোটিশ প্রাপ্তির একমাসের মধ্যে পদত্যাগের আবেদন বিবেচনা করতে হবে।
চ. শাখা বা পাঠাগার তার সাধারণ সভা বা জরুরি সভা পদত্যাগপত্র বিবেচনার পর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে। জরুরি প্রয়োজনবোধে স্ব স্ব পাঠাগার বা শাখা পরিষদ যেকোনো সদস্যের পদত্যাগপত্র অস্থায়ীভাবে গ্রহণ বা নাকচ করতে পারবে।
অনুচ্ছেদ-৪: গঠন পদ্ধতিঃ
ক. জাতীয় সম্মেলন
খ. জাতীয় পরিষদ
গ. কেন্দ্রীয় পরিষদ
ঘ. শাখা পরিষদ
ঙ. পাঠাগার পরিষদ
অনুচ্ছেদ-৫: জাতীয় সম্মেলনঃ
ক. প্রতি ২ বছর পর শাখা অথবা পাঠাগার সমূহের নির্বাচিত প্রতিনিধি এবং কেন্দ্রীয় পরিষদ কর্তৃক নির্ধারিত সংখ্যক সম্মেলন প্রতিনিধি নিয়ে জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।
কেন্দ্রীয় পরিষদ কর্তৃক নির্ধারিত সম্মেলনের তারিখের পূর্বেই এই প্রতিনিধি নির্বাচন করতে হবে।
খ. সম্মেলন যোগদান করতে হলে নির্বাচিত এবং কো-অপট করা সম্মেলনের সদস্যদের প্রত্যেককে কেন্দ্রীয় পরিষদ কর্তৃক নির্ধারিত পরিমাণ চাঁদা নির্দিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট প্রদান করতে হবে।
গ. এক তৃতীয়াংশ সম্মেলন প্রতিনিধির উপস্থিতি কোরাম হিসেবে গণ্য হবে।
ঘ. জাতীয় পরিষদ ও কেন্দ্রীয় পরিষদের সবাই জাতীয় সম্মেলন প্রতিনিধি হিসেবে বিবেচিত হবে।
ঙ. কেন্দ্রীয় পরিষদ শাখাসমূহ এবং পাঠাগারসমূহের জন্য সম্মেলন পর্যবেক্ষকের সংখ্যাও নির্ধারণ করবে। পর্যবেক্ষকবৃন্দ সম্মেলনের প্রতিনিধি সভায় উপস্থিত থাকতে পারবেন তবে মতামত বা ভোট দিতে পারবেন না।
চ. শাখা পরিষদ সম্মেলনে কেন্দ্রীয় পরিষদের প্রতিনিধি উপস্থিত থাকবেন।
ছ. পাঠগার পরিষদ নিজেরাই নিজেদের সম্মেলন করতে পারবে। এক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় পরিষদের সংশ্লিষ্টতার প্রয়োজন হবে না।
কার্যাবলিঃ
ক. জাতীয় সম্মেলন পরবর্তী ২ বছরের জন্য কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদ সদস্যদের নির্বাচিত করবে।
খ. জাতীয় সম্মেলন সংগঠনের চূড়ান্ত নীতি নির্ধারক সংস্থা এবং সংগঠনের ঘোষণাপত্র, গঠনতন্ত্র সংশোধন, পরিবর্তন ও পরিবর্ধনের অধিকারী।
গ. একটি জাতীয় সম্মেলনে উপস্থিতি সকল সম্মেলন প্রতিনিধি (কাউন্সিলর) তার শাখার বা পাঠাগারের সাধারণ সদস্যপদ বহাল থাকলে পরবর্তী জাতীয় সম্মেলনের সম্মেলন প্রতিনিধি নির্বাচনের পূর্ব পর্যন্ত সম্মেলন সদস্য হিসেবে গন্য হবে।
তলবি সভাঃ
ক. জাতীয় সম্মেলনের এক তৃতীয়াংশ সদস্য তলবিপত্র প্রদান করলে জাতীয় সম্মেলনের জন্য বসবে।
খ. লিখিত তলবিপত্র পাওয়ার ৩০দিনের মধ্যে সভাপতির নির্দেশে সাধারণ সম্পাদক জাতীয় সম্মেলন আহবান করতে বাধ্য থাকবেন। অন্যথায় তলবিপত্র প্রদানকারী সদস্যগন ২১দিনের নোটিশে জাতীয় সম্মেলন আহবান করতে পারবেন।
গ. দুই- তৃতীয়াংশ সম্মেলন প্রতিনিধির উপস্থিতি তলবি সভার কোরাম হিসেবে গণ্য হবে।
ঘ. উপস্থিত সদস্য সংখ্যার দুই-তৃতীয়াংশের সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে তলবি সভার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা যাবে।
ঙ. তলবি সভা অবশ্যই সংগঠনের কেন্দ্রীয় দপ্তরে অনুষ্ঠিত হবে।
বিষয় নির্বাচনী কমিটিঃ
ক. পূর্বতন কেন্দ্রীয় পরিষদের জাতীয় সম্মেলন অনুমোদন সাপেক্ষে বিষয় নির্বাচনি কমিটি গঠন করবে। এই কমিটি বিভিন্ন প্রস্তাবের খসড়া প্রস্তাব নির্বাচনি (কাউন্সিল) অধিবেশনে উপস্থাপন করবে।
অনুচ্ছেদ-৬: জাতীয় পরিষদঃ
কেন্দ্রীয় পরিষদের সকল সদস্য এবং প্রতিটি শাখা ও পাঠাগারের একজন প্রতিনিধি জাতীয় পরিষদের সদস্য বলে বিবেচিত হবেন। শাখার জাতীয় পরিষদ সদস্য সংশ্লিষ্ট শাখার সম্মেলনে নির্বাচিত হবেন। এবং পাঠাগারের ক্ষেত্রে জাতীয় পরিষদ সদস্য সংশ্লিষ্ট পাঠাগার মনোনীত করবেন। জাতীয় পরিষদ জাতীয় সম্মেলনের সিদ্ধান্ত ও নীতিমালা বাস্তবায়ন করে বলে সরাসরি জাতীয় সম্মেলনের কাছে দায়বদ্ধ থাকবে।
কার্যাবলিঃ
জাতীয় সম্মেলনের দুই অধিবেশনের মধ্যবর্তী সময়ে জাতীয় পরিষদই নীতি নির্ধারণের ক্ষমতার অধিকারী বলে বিবেচিত হবে। জাতীয় পরিষদ জাতীয় সম্মেলনে প্রণীত নীতিমালা ও গৃহীত সিদ্ধান্তসমূহের তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে কাজ করবে। জাতীয় পরিষদ প্রতি বছরে একবার বৈঠকে মিলিত হবে। জাতীয় পরিষদের মোট সদস্যের এক পঞ্চমাংশের উপস্থিতি কোরাম হিসেবে গণ্য হবে। সংগঠনের স্বার্থ ও সুনামের পরিপন্থী কোনো প্রকার কার্যে লিপ্ত থাকার কোনো অভিযোগ জাতীয় পরিষদের কোনো সদস্য অথবা কেন্দ্রীয় পরিষদের সদস্যের বিরুদ্ধে লিখিতভাবে উপস্থাপন হলে জাতীয় পরিষদ যথাবিহিত তদন্তপূর্বক যে কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতার অধিকারী হবে। কেন্দ্রীয় /শাখা /পাঠাগার পরিষদের বিরুদ্ধে সংগঠনের আদর্শ ও নীতিমালা থেকে বিচ্যুতি এবং শৃঙ্খলাভঙ্গের কোনো অভিযোগ উপস্থাপন হলে যথাক্রমে জাতীয় পরিষদ /কেন্দ্রীয় পরিষদ /শাখা পরিষদ / পাঠাগার পরিষদ যথাবিহীত তদন্তপূর্বক দুই -তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে অভিযুক্ত পরিষদ সম্পর্কে ঊর্ধ্বতন পরিষদের অনুমোদন সাপেক্ষে যে কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারবে। কেন্দ্রীয় পরিষদের সিদ্ধান্তক্রমে ২১দিনের নোটিশে জাতীয় পরিষদের সভা ও ১০দিনের নোটিশে জাতীয় পরিষদের জরুরি সভা আহবান করা যাবে।
অনুচ্ছেদ-৭: কেন্দ্রীয় পরিষদ
কেন্দ্রীয় পরিষদের মোট সদস্য সংখ্যা হবে ২১-২৯ জন।
সভাপতি : ১ জন
সহ সভাপতি : ২ জনকেন্দ্রীয় পরিষদ গঠন:
সাধারণ সম্পাদক : ১ জন
সহ সাধারণ সম্পাদক : ২ জন
সাংগঠনিক সম্পাদক : ১-৯জন
অন্যান্য সম্পাদক : ১০ জন
নির্বাহী সদস্য : ৪ জন
কার্যাবলিঃ
সংগঠনের সার্বিক কার্যক্রম পরিচালনার দায়িত্ব কেন্দ্রীয় পরিষদের ওপর ন্যস্ত থাকবে। কেন্দ্রীয় পরিষদের জাতীয় সম্মেলন ও জাতীয় পরিষদের গৃহীত সিদ্ধান্তসমূহ বাস্তবায়ন করবে। কেন্দ্রীয় পরিষদ তার সকল কার্যক্রমের জন্য জাতীয় সম্মেলনের কাছে দায়বদ্ধ থাকবে। কেন্দ্রীয় পরিষদ সংগঠনের যাবতীয় হিসাব-নিকাশের রক্ষণাবেক্ষণ ও সংগঠনের সমস্ত স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির তত্ত্বাবধান করবে। কেন্দ্রীয় পরিষদ প্রতি ৩ মাসে অনন্তপক্ষে একবার সভায় মিলিত হবে। ১৫ দিনের নোটিশে কেন্দ্রীয় পরিষদের সভা এবং ৭২ ঘন্টার নোটিশে কেন্দ্রীয় পরিষদের জরুরি সভা আহবান করা যাবে। কোনো বিশেষ পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় পরিষদের সম্পাদকমন্ডলী কেন্দ্রীয় পরিষদের পরবর্তী পূর্ণাঙ্গ সভায় অনুমোদন সাপেক্ষে ৬ ঘন্টার নোটিশে কোনো বিবেচ্য বিষয়ে যে কোনো সিদ্ধান্ত বা ব্যবস্থা গ্রহণ বা প্রচার কাজ চালাতে পারবে। কেন্দ্রীয় পরিষদ সম্পাদকমন্ডলী মাসে কমপক্ষে একবার বৈঠকে মিলিত হবে। ৩ দিনের বিজ্ঞপ্তিতে কেন্দ্রীয় পরিষদ এবং ৬ ঘন্টার বিজ্ঞপ্তিতে জরুরি সভা আহবান করা যাবে। কেন্দ্রীয় পরিষদের সম্পাদকমন্ডলী সভাপতি, সহ সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, সহ সাধারণ সম্পাদক, সাংগঠনিক সম্পাদক ও অন্যানো সম্পাদক নিয়ে গঠিত হবে এবং কেন্দ্রীয় পরিষদের দুই সভার অন্তবর্তীকালীন কাজের জন্য কেন্দ্রীয় পরিষদ পরবর্তী সভার কাছে দায়বদ্ধ থাকবে। কেন্দ্রীয় পরিষদ উপযুক্ততা বিচারের মাধ্যমে সংগঠনের বিভিন্ন বিভাগের কাজের দায়িত্ব বন্টন করবে। কেন্দ্রীয় পরিষদ সম্পাদকমন্ডলীর কোনো সদস্য মৃত্যুবরণ করলে, স্থায়ীভাবে বা দীর্ঘ সময়ের জন্য দেশের বাইরে গেলে অথবা সংগঠনের দৈনন্দিন কাজকর্মে বিনা নোটিশে দীর্ঘদিন অংশগ্রহণ না করলে অথবা নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়লে, ওই সদস্যের স্থান শূন্য বলে গণ্য হবে এবং কেন্দ্রীয় পরিষদ উক্ত শূন্যপদে কেন্দ্রীয় পরিষদের যেকোনো সদস্যকে ভারপ্রাপ্ত হিসেবে দায়িত্ব প্রদান করতে পারবে। কার্যকরী পরিষদের কোনো সদস্য কোনো উপযুক্ত কারণ ব্যতিরেখে পরপর তিনটি সভায় অনুপস্থিত থাকলে সংশ্লিষ্ট শাখা/পাঠাগার পরিষদের অনুমোদন সাপেক্ষে, শাখা/পাঠাগার পরিষদ কেন্দ্রীয় পরিষদের অনুমোদন সাপেক্ষে তার পদ শূন্য ঘোষণা করতে পারবে এবং শূন্য পদে নতুন সদস্যকে অন্তর্ভুক্ত করতে পারবে। অন্য কোনো সংগঠন বা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যেকোনো বিষয়ে সহযোগিতার প্রশ্নে কেন্দ্রীয় পরিষদ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারবে। এতদব্যাতীত সংগঠনের স্বার্থে ও জাতীয় পরিষদের পরবর্তী সভার অনুমোদন সাপেক্ষে কেন্দ্রীয় পরিষদ যে কোনো সময়ে যে কোনো বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতার অধিকারী হবে। কেন্দ্রীয় সভার এক-তৃতীয়াংশ সদস্যের উপস্থিতি কোরাম হিসেবে গণ্য হবে। কেন্দ্রীয় পরিষদের কোনো সদস্য পদত্যাগ করতে চাইলে ১ মাসের নোটিশে পদত্যাগের কারণ দর্শানোসহ সভাপতি বরাবর সাধারণ সম্পাদকের কাছে সাদা কাগজে পদত্যাগপত্র দাখিল করবেন। কেন্দ্রীয় পরিষদ জাতীয় পরিষদের পরবর্তী অধিবেশনের অনুমোদন সাপেক্ষে এ সম্পর্কে সাময়িক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারবে। কেন্দ্রীয় পরিষদের যে কোনো সিদ্ধান্ত সাধারণ সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে গৃহীত হবে। কেন্দ্রীয় পরিষদ প্রয়োজনবোধে জাতীয় পরিষদের অনুমোদন সাপেক্ষে প্রাথমিক সদস্যপদ প্রদান ও বাতিল করতে পারবে। কেন্দ্রীয় পরিষদের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক পরপর দুই বারের বেশি একই পদে নির্বাচিত হতে পারবেন না।
অনুচ্ছেদ-৮: শাখা পরিষদঃ
শাখা পরিষদ গঠন:
সারাদেশে সকল জেলা বা উপজেলা পযার্য়ে সাংগঠনিক শাখা পরিষদ গঠন করা যাবে।
শাখা পরিষদের মোট সদস্য সংখ্যা ২১ জন হবে।
সভাপতি : ১ জন
সহ সভাপতি : ২ জন
সাধারণ সম্পাদক : ১ জন
সহ সাধারণ সম্পাদক : ২ জন
সাংগঠনিক সম্পাদক : ১ জন
অন্যানো সম্পাদক : ১০ জন
নির্বাহী সদস্য : ৪ জন
পূর্ণাঙ্গ শাখা পরিষদ গঠনের ছয় মাস আগে একজন আহবায়ক ও অনূর্ধ্ব দুইজনকে যুগ্ম আহবায়ক করে এবং ৪জন সদস্য করে ৭সদস্য বিশিষ্ট আহবায়ক কমিটি গঠন করতে হবে। আহবায়ক কমিটি ছয় মাসের মধ্যে সম্মেলনের মধ্যে সম্মেলনের মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ শাখা পরিষদ গঠন করবে। শাখা পরিষদের সম্মেলনে কেন্দ্রীয় পরিষদের প্রতিনিধি উপস্থিত থাকবেন। শাখা পরিষদ এর সকল কার্যক্রম ও স্থাবর অস্থাবর সম্পদ শাখা পরিষদের অধীনে পরিচালিত হবে।
কার্যাবলিঃ
শাখাসমূহ জাতীয় পরিষদের গৃহীত সিদ্ধান্ত ও নীতিমালা অনুযায়ী তাদের কর্মতৎপরতা পরিচালনা করবে। শাখাসমূহ কেন্দ্রীয় পরিষদ কর্তৃক প্রদত্ত নির্দেশনাবলি যথাযথ ভাবে পালনে বাধ্য থাকবে। শাখার যে কোনো সভায় কমিটির এক-তৃতীয়াংশ সদস্যের উপস্থিতি কোরাম হিসেবে গণ্য হবে। শাখাসমূহ বছরে কমপক্ষে একবার সাধারণ সভার আয়োজন করবে। কোনো শাখা প্রয়োজনবোধে কেন্দ্রীয় পরিষদের অনুমোদন সাপেক্ষে যে কোনো সদস্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবে। শাখার নির্বাহী পরিষদ দুই মাসে কমপক্ষে অন্তত একবার সভায় মিলিত হবে।
অনুচ্ছেদ-৯: পাঠাগার পরিষদঃ
পাঠাগার পরিষদের গঠন:
স্ব স্ব পাঠাগারের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী পাঠগার পরিষদ গঠন ও পরিচালিত হবে। এক্ষেত্রে জাতীয় পরিষদ ও কেন্দ্রীয় পরিষদ বা শাখা পরিষদের কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ থাকবে না। সম্মিলিত পাঠাগার আন্দোলন এর যুক্ত পাঠাগারসমূহ তারা প্রতিটি পাঠাগার থেকে পাঠাগারের নিজস্ব প্যাডে একজন মনোনীত প্রতিনিধিকে জাতীয় পরিষদে যুক্ত করবার জন্য নাম মনোনীত করে কেন্দ্রীয় পরিষদে জমা দিবেন। কেন্দ্রীয় পরিষদ জাতীয় পরিষদে নাম যুক্ত করবেন।
তবে সম্মিলিত পাঠাগার আন্দোলন যুক্ত পাঠাগার সমূহকে কেন্দ্রীয়ভাবে পাঠাগার আন্দোলনের বিকাশের ক্ষেত্রে দিকনির্দেশনা মূলক কেন্দ্রীয় সার্কুলার পাঠাবেন নিয়মিত।
অনুচ্ছেদ-১০: কেন্দ্রীয় পরিষদ ও শাখা পরিষদের বিভিন্ন সংগঠকের দায়িত্বঃ
সভাপতি:
সভাপতি সংগঠনের প্রধান হিসেবে গণ্য হবেন। তিনি পদাধিকারবলে সংগঠনের সকল সভায় সভাপতিত্ব করবেন। সকল পরিষদের এবং উপ পরিষদের অধিবেশনে উপস্থিত থাকতে পারবেন। সাধারণ ভাবে তিনি ভোটদানের অধিকারী নন, তবে অচলাবস্থা নিরসনের জন্য তিনি ভোট দিতে পারবেন। কেন্দ্রীয় পরিষদের সভাপতি জাতীয় পরিষদ সভা আহবান করবেন। তিনি পরিষদের গঠনতন্ত্রের প্রতিটি ধারার যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করবেন। তিনি কেন্দ্রীয় পরিষদের সভা আহবানের জন্য সাধারণ সম্পাদককে নির্দেশ দেবেন। সাধারণ বেলাল সভা আহবান না করলে তিনি সয়ং সভা আহবান করতে পারবেন। কেন্দ্রীয় পরিষদের সভাপতি জাতীয় সম্মেলনের অনুমোদন সাপেক্ষে কেন্দ্রীয় পরিষদের কাছে দায়বদ্ধ থাকবেন। এছাড়াও গঠনতন্ত্র অনুযায়ী যে সকল দায়িত্ব তার ওপর বর্তায় তিনি তা পালন করবেন।সভাপতি সংগঠনের প্রধান হিসেবে গণ্য হবেন। তিনি পদাধিকারবলে সংগঠনের সকল সভায় সভাপতিত্ব করবেন। সকল পরিষদের এবং উপ পরিষদের অধিবেশনে উপস্থিত থাকতে পারবেন। সাধারণ ভাবে তিনি ভোটদানের অধিকারী নন, তবে অচলাবস্থা নিরসনের জন্য তিনি ভোট দিতে পারবেন। কেন্দ্রীয় পরিষদের সভাপতি জাতীয় পরিষদ সভা আহবান করবেন। তিনি পরিষদের গঠনতন্ত্রের প্রতিটি ধারার যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করবেন। তিনি কেন্দ্রীয় পরিষদের সভা আহবানের জন্য সাধারণ সম্পাদককে নির্দেশ দেবেন। সাধারণ বেলাল সভা আহবান না করলে তিনি সয়ং সভা আহবান করতে পারবেন। কেন্দ্রীয় পরিষদের সভাপতি জাতীয় সম্মেলনের অনুমোদন সাপেক্ষে কেন্দ্রীয় পরিষদের কাছে দায়বদ্ধ থাকবেন। এছাড়াও গঠনতন্ত্র অনুযায়ী যে সকল দায়িত্ব তার ওপর বর্তায় তিনি তা পালন করবেন।
সহ সভাপতি :
তিনি সভাপতির সকল কাজে সহায়তা করবেন। সভাপতির অনুপস্থিতিতে সহ সভাপতি (ক্রমিক অনুসারে) সভাপতির দায়িত্ব ও ক্ষমতার অধিকারী হবেন। এছাড়াও তিনি তার ওপর অর্পিত অন্যান্য দায়িত্বসমূহ পালন করবেন।
সাধারণ সম্পাদক :
সাধারণ সম্পাদক সংগঠনের প্রধান নির্বাহী। তিনি সভাপতির পরামর্শক্রমে কেন্দ্রীয় পরিষদের সভা আহবান করবেন। তিনি সংগঠনের দৈনন্দিন কার্যাবলির জন্য দায়বদ্ধ থাকবেন। কেন্দ্রীয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জাতীয় পরিষদ ও কেন্দ্রীয় পরিষদ সভায় ও শাখা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক স্ব- স্ব পরিষদের সভায় সংগঠনের কার্যাবলি সমন্ধে প্রতিবেদন পেশ করবেন। তিনি প্রয়োজনবোধে অন্যান্য সংগঠক বা সম্পাদকের ওপর বিভিন্ন দায়িত্ব বন্টন করবেন। তিনি সংগঠকদের কাজের মধ্যে সংযোগ ও সমন্বয় সাধন করবেন। তিনি পদাধিকার বলে সকল উপ পরিষদের সদস্য থাকবেন এবং জরুরি প্রয়োজনে উপ- পরিষদসমূহের সভা আহবান করবেন। এই গঠনতন্ত্র অনুযায়ী অর্পিত যে সকল দায়িত্ব তার ওপর বর্তায় তিনি তা পালন করবেন। কেন্দ্রীয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জাতীয় সম্মেলনের অনুমোদন সাপেক্ষে কেন্দ্রীয় পরিষদের নিকট দায়বদ্ধ থাকবেন।
সহ সাধারণ সম্পাদক :
তিনি সাধারণ সম্পাদকের সকল কাজে সহায়তা করবেন। সাধারণ সম্পাদকের অনুপস্থিতিতে তিনি (ক্রমিক অনুসারে) সাধারণ সম্পাদকের সকল দায়িত্ব ও ক্ষমতার অধিকারী হবেন। এছাড়াও তিনি তার ওপর অর্পিত অন্যান্য দায়িত্বসমূহ পালন করবেন।
সাংগঠনিক সম্পাদকঃ
সংগঠন গড়ে তুলতে ও বিকশিত করতে অগ্রনী ভূমিকা পালন করবেন। সংগঠনের বিস্তারের ক্ষেত্রে যুগোপযোগী করতে পরিকল্পনা গ্রহণসহ উদ্যোগ গ্রহণ করবেন। সংগঠনের গঠনতন্ত্রসহ সদস্য ফর্ম, সারাদেশের সংগঠনের যাবতীয় তথ্য সংগ্রহসহ সংরক্ষণ করবেন। সংগঠনের শৃঙ্খলা দেখার দায়িত্বসহ তার সাংগঠনিক বিভাগের কাজের জন্য কার্যকরী পরিষদের কাছে দায়বদ্ধ থাকবেন। এছাড়াও তার ওপর অর্পিত সাংগঠনিক দায়িত্বসমূহ পালন করবেন।
অর্থ সম্পাদক : (কোষাধ্যক্ষ)
সংগঠনের যাবতীয় অর্থ তার মারফত দেশের যে কোনো তফসিলে ব্যাংকে জমা থাকবে। তিনি সংগঠনের যাবতীয় আয় ব্যয়ের হিসাব সংরক্ষণ ও প্রদান করবেন। সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক এবং অর্থ সম্পাদক (কোষাধ্যক্ষ) তিনজন মিলে সংগঠনের যৌথ ব্যাংক হিসাব পরিচালনা করবেন। অর্থ সম্পাদক (কোষাধ্যক্ষ) এবং সভাপতি/সাধারণ সম্পাদক যে কোনো একজনের যুক্ত স্বাক্ষরে ব্যাংক থেকে টাকা উঠানো যাবে। তিনি তহবিল সংগ্রহের পরিকল্পনা করবেন এবং বাস্তবায়নে সচেষ্ট হবেন। বিভিন্ন বিভাগের আয় ব্যয়ের হিসাব রক্ষণ ও সমন্বয় সাধন করবেন। তিনি তার ওপর অর্পিত কাজের জন্য কার্যকর পরিষদের কাছে দায়বদ্ধ থাকবেন।
অন্যান্য সম্পাদক:
তিনি তার ওপর অর্পিত বিভাগীয় দায়িত্ব পালন করবেন। তিনি তার বিভাগের কাজের সুবিধার্থে কার্যকরী পরিষদের সদস্যদের কাছ থেকে সাহায্য নেবেন। তিনি তার বিভাগের কাজের জন্য কার্যকরী পরিষদের কাছে দায়বদ্ধ থাকবেন।
নির্বাহী সদস্য:
কার্যকরী পরিষদ কর্তৃক অর্পিত যে কোনো দায়িত্ব পালনে তিনি সচেষ্ট থাকবেন। তিনি তার কাজের জন্য কার্যকরী পরিষদের কাছে দায়বদ্ধ থাকবেন।
অনুচ্ছেদ-১১: উপদেষ্টামন্ডলী গঠনঃ
কেন্দ্রীয় পরিষদ ও শাখা পরিষদ প্রয়োজনবোধে প্রয়োজন অনুযায়ী সদস্য নিয়ে উপদেষ্টা পরিষদ গঠন করতে পারবেন।
কার্যাবলী:
সংগঠন পরিচালনার ক্ষেত্রে পরামর্শ প্রদানসহ সবধরনের সহযোগিতা করবেন। কার্য নির্বাহী পরিষদের সভায় নির্বাহী পরিষদ প্রয়োজন মনে করলে পরামর্শ প্রদানের জন্য উপস্থিত থাকবার জন্য অনুরোধ জানাতে পারবেন। তবে ভোটাভুটির পরিস্থিতি হলে নির্বাহী পরিষদ শুধুমাত্র কাস্টিং ভোট দিতে পারবেন। এক্ষেত্রে উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্যগন বিরত থাকবেন।
অনুচ্ছেদ-১২: তহবিল সংগ্রহঃ
সংগঠনের কার্যাবলির ব্যয় নির্বাহের জন্য নিম্নলিখিত উপায়ে অর্থ সংগ্রহ করা যাবে।
প্রাথমিক সদস্য ভর্তি ফি, সদস্যদের নবায়ন ফি ও সদস্যদের বার্ষিক ফি ও সদস্যের বার্ষিক চাঁদা। দান, অনুদান, চাঁদা, আর্থিক সাহায্য সংগঠন নির্ধারিত রশিদের মাধ্যমে সংগ্রহ করতে হবে।
হিসাব পদ্ধতিঃ
কেন্দ্রীয় পরিষদ ও শাখাসমূহের সকল প্রকার আর্থিক লেনদেন অবশ্যই দেশের কোনো তফসিলি ব্যাংকে সংগঠনের নামে রক্ষিত হিসাবের মাধ্যমে পরিচালিত হবে। সভাপতি অথবা সাধারণ সম্পাদকের যেকোনো একজন এবং অর্থ সম্পাদক (কোষাধ্যক্ষ) এই দুইজনের যুক্ত স্বাক্ষরে ব্যাংক থেকে টাকা উঠানো যাবে। নৈমিত্তিক ও জরুরি খরচ ব্যতীত সকল লেনদেন ব্যাংকের মাধ্যমে হবে। যেকোনো জরুরি খরচ অবশ্যই সভাপতি/সাধারণ সম্পাদকের যেকোনো একজন এবং অর্থ সম্পাদক ( কোষাধ্যক্ষ) এই দুইজনের পূর্বানুমতিতে হতে হবে এবং পরবর্তীকালে কার্য নির্বাহী পরিষদের সভায় তা অনুমোদন করিয়ে নিতে হবে। নৈমিত্তিক খরচ সর্বোচ্চ ১০০০০ টাকা ও জরুরি খরচ সর্বোচ্চ ৫০০০ টাকা। মোট ১৫০০০ টাকা অর্থ সম্পাদক (কোষাধ্যক্ষ) নগদ সংরক্ষণ করতে পারবেন। সকল সম্পাদকীয় বিভাগের পুঙ্খনাপুঙ্খ হিসাব সংশ্লিষ্ট সম্পাদক রক্ষা করবেন এবং প্রতি মাসে তা অর্থ সম্পাদকের (কোষাধ্যক্ষ) কাছে পেশ করবেন। কোনো অনুষ্ঠানের আর্থিক দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি অনুষ্ঠান সমাপ্তির ১৫ দিনের মধ্যে অনুষ্ঠানের পূঙ্খানুপুঙ্খ হিসাব অর্থ সম্পাদকের (কোষাধ্যক্ষ) কাছে অবশ্যই পেশ করবেন। সমস্ত খরচ ভাউচারের মাধ্যমে হতে হবে। হিসাবরক্ষণ দেশের স্বীকৃত পদ্ধতিতে পরিচালিত হবে। আর্থিক হিসাব- নিকাশ যথাযথভাবে সম্পাদন বা পেশ করার ক্ষেত্রে শৈথিল্য গুরুতর সাংগঠনিক অনিয়ম হিসেবে বিবেচিত হবে। কার্য নির্বাহী পরিষদ কর্তৃক মনোনীত অভ্যন্তরীন হিসাব পরীক্ষা উপ কমিটি বছরে একবার সংগঠনের বার্ষিক নিরীক্ষা করবে। হিসাবের বিশদ বিবরণ ও তার সাথে হিসাব পরীক্ষা উপ-কমিটির প্রতিবেদন সভার আলোচ্যসূচির সাথে কার্যকরী পরিষদের সদস্যদের মাঝে বিতরণ করতে হবে। নিরীক্ষিত হিসাব অর্থ বছরের শেষে জুলাই মাসের মধ্যে পেশ করার জন্য তৈরি থাকতে হবে। কেন্দ্রীয় পরিষদ ও শাখা পরিষদের সম্মেলনে আয়- ব্যয়ের বিবরণী এবং নিরীক্ষা বিবৃতি সাধারণ সম্পাদকের প্রতিবেদনের সাথে উপস্থাপন করতে হবে।
অনুচ্ছেদ-১৩: শৃঙ্খলা ও বহিষ্কারঃ
সংগঠনের ঘোষণাপত্র, গঠনতন্ত্র ও সংগঠন বিরোধী যেকোনো কাজ সংগঠনের শৃঙ্খলা ভঙ্গ বলে গণ্য হবে। উপযুক্ত তদন্তপূর্বক এবং অভিযুক্ত ব্যক্তির কৈফিয়ত বিবেচনার পর কার্যকরী পরিষদ দোষী বিবেচিত যেকোনো সদস্যের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবে।
বহিষ্কারঃ
শাখাসমূহের কার্যকরী পরিষদ কর্তৃক কোনো সদস্যকে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত কেন্দ্রীয় পরিষদের অনুমোদনের পর চুড়ান্তভাবে গৃহীত হবে এবং কেন্দ্রীয় পরিষদ ও জাতীয় পরিষদের কোনো সদস্যকে বহিষ্কার করার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে জাতীয় সম্মেলন।
অনুচ্ছেদ-১৪: নির্বাচনঃ
সম্মেলনের নির্বাচনি অধিবেশনে কেন্দ্রীয় পরিষদ /শাখা পরিষদ / পাঠাগার পরিষদ এবং জাতীয় পরিষদের সংগঠকগন নির্বাচিত হবেন। নির্বাচনি অধিবেশন শুরুর পূর্বমূহুর্ত থেকে পূর্ববর্তী কেন্দ্রীয় পরিষদ / শাখা পরিষদ ও জাতীয় পরিষদ বাতিল বলে গণ্য হবে। সংগঠনের সাংগঠনিক বছর বাংলা সনের ১লা বৈশাখ থেকে চৈত্রের শেষদিন (সংক্রান্তি) পর্যন্ত বিবেচিত হবে। অনিবার্য কারণবশত নির্বাচনের তারিখ ৯০ দিন পর্যন্ত এগিয়ে বা পিছিয়ে দেওয়া যাবে। কেন্দ্রীয় পরিষদ জাতীয় পরিষদের অনুমোদন, শাখা পরিষদ কেন্দ্রীয় পরিষদের অনুমোদন গ্রহণ করবে।
অনুচ্ছেদ-১৫: গঠনতন্ত্রের ব্যাখ্যাঃ
গঠনতন্ত্রের যে কোনো ধারা অথবা উপ-ধারার ব্যাখ্যার প্রশ্নে জাতীয় সম্মেলনের দুই অধিবেশনের অন্তর্বর্তীকালীন সময়ে জাতীয় পরিষদ ব্যাখ্যা দান করতে পারবে। গঠনতন্ত্রের পরিবর্তন, পরিবর্ধন ও পরিমার্জনের চূড়ান্ত ক্ষমতার অধিকারী জাতীয় সম্মেলন। বাংলা একাডেমী কর্তৃক প্রণীত প্রমিত বাংলা বানানরীতি অনুসরণে ঘোষণাপত্র ও গঠনতন্ত্রের বানানসমূহ লিখিত হবে।
অনুচ্ছেদ-১৬: জাতীয় পরিষদ /কেন্দ্রীয় পরিষদ / শাখা পরিষদের জন্য অভিন্ন শপথনামাঃ
শপথনামাঃ
আমি …………….………… মহান ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ ও আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের নানা পর্বের শহীদদের নামে শপথ করছি যে, আমি সম্মিলিত পাঠাগার আন্দোলনের ঘোষণাপত্র ও আদর্শ উদ্দেশ্যের প্রতি অবিচল থাকব এবং একজন পাঠাগার আন্দোলন কর্মী হিসেবে দেশ ও দেশের মানুষের বৃহত্তর স্বার্থে আমার কর্মজীবন উৎসর্গ করব। এক শোষণমুক্ত সুখী সুন্দর জ্ঞান আলোয় আলোকিত বাংলাদেশ গড়ার কাজে আমার সৃজনশীল মেধা ও সত্তাকে নিয়োজিত রাখব। জয় বাংলা।